মানব দেহের জন্যে বাদামের উপকারিতা ।
আলহামদুলিল্লাহ,
আল্লাহ
রব্বুল আলামিন পৃথিবীতে যা সৃষ্টি করেছেন সব মানুষ জাতীর কল্যানের জন্যেই সৃষ্টি করেছেন
।খাবারের পুষ্টিগুন ও আল্লাহ রব্বুল আলামিনের একটি হুকুম।
মানুষের
দেহের জন্যে পুষ্টির গুনের ভূমিকায় বাদামের কার্যকারিতা অপরিসীমঃ
বাদামের রয়েছে প্রচুর পরিমানে
প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, ফাইবার, সেলেনিয়াম,ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আরও অনেক
উপাদান, যা শরীরের বিভিন্ন উপকার সাধন করে থাকে।
বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বাদাম
খাওয়ার উপকারীতা যা মানবদেহকে চাঙ্গা এবং বিভিন্ন রোগ ব্যাধি দূরে রাখাতে বিশেষ ভূমিকা
রাখে।
- বাদামে থাকা ফসফরাশ মানবদেহের হারের উন্নতি ঘটায় এবং হারকে মজবুত করে।
- বাদাম মস্তিস্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
- বাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের মত রোগকে প্রতিরোধ করার সাথে সাথে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় এবং দেহের সংক্রমণকে দূরে রাখার বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাদামে থাকা অ্যাক্সিডেটিভ ট্রেস কমিয়ে দেহের কোষেদের ক্ষত রোধ করে ।ত্বক ও দেহের কাঠামো কে ঠিক রাখে।
- শরীরকে সুস্থ রাখার জন্যে যে উপাদানগুলোর প্রয়োজন হয়, তা রয়েছে বাদামে প্রায় ৩.৫ গ্রাম ফাইবার, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৪ গ্রাম ফ্যাট সহ ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি২, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম। মানবদেহের একাধিক ক্রনিক রোগকে দূরে রাখতেও এই উপাদানগুলি সাহায্য করে।
- প্রসঙ্গত, এক মুঠো বাদাম খেলে শরীরে মাত্র ১৬১ ক্যালরি প্রবেশ করে। ফলে এই খাবারটি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় থাকে না।
- পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাদামে থাকা কোলেস্ট্রল মানবদেহের বেরে যাওয়া অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্ট্রলের মাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্ট্রলের কারণে দিনে দিনে হার্টের রোগীর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- বাদামে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান শরীরে অন্দরে ভাল কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কমে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও।
- বাদাম ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে ভালো ভূমিকা রাখে। বাদামে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম যা দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- বাদামে উপস্থিত প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ই শরীরের কোষেদের কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটায়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের শরীরে যাতে কোনও ভাবে ক্ষতের সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে বয়স বাড়লেও শরীরের উপর তার কোনও প্রভাব পরে না।
- শুধু ডায়াবেটিস নয়, বাদাম খাওয়ার কারনে শরীরে ম্যাগনেসিয়াম নামের এই খনিজের উপস্তিতিতি ঘটে, যা ডায়াবেটিক ও ব্লাড প্রেসার, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং কিডনির সমস্যার মত রোগের যুকি কমায়।
- বাদাম খাওয়ার কারনে ক্ষিদে একেবারে কমে যায়।তাই মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। এতে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে শরীরে প্রয়োজন অতিরিক্ত
- ক্যালরি জমে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও কমে।
- বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তে উপস্থিত শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই চিকিৎসকেরা ডায়বেটিক রোগিদের নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২৫-৩৮ শতাংশ কমে যায়। তাই যাদের ডায়বেটিক হওয়ার আশঙ্কা করেন। তারা নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাশ করতে পারেন।
Comments